প্রত্যয় আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাহসী এক পুরুষ রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এর জীবনী সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না।নিজ দেশে তিনি কট্টর ইসলামপন্থী বলে পরিচিত।ক্ষমতায় এসে তিনি বিভিন্ন ইসলাম বিরোধী আইন সংবিধান থেকে তুলে দেন,যার জন্য বিরোধীরা তার প্রচুর সমালোচনা করে।
তাঁর শিশুকাল,যৌবনকাল,রাজনৈতিক জীবন থেকে বর্তমান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট -জীবন পর্যন্ত,চমৎকার এক অধ্যায়।সেই ছোট বেলা থেকে শত সংগ্রাম বাধা-বিপত্তি এবং প্রতিরোধ অতিক্রম করে আজকে তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
আসুন জেনে নিই,কেমন ছিল তার সংগ্রামী -জীবন।
★জন্ম,শিশুকাল,শিক্ষাজীবণঃ
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ১৯৫৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইস্তাম্বুলে ‘জুরজু’ বংশে জন্মগ্রহণ করেণ।তাঁর শিশুকাল কেটেছে কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে।তের বছর বয়সে আবার ইস্তাম্বুল চলে আসেন।এরদোগানের পরিবার ছিল দারিদ্র-অসহায়।তাঁর প্রতিপালনও হয়েছে গরিব পরিবারে।এক মাদরাসা কর্তৃক আয়োজিত তাকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন –
“যখন বাল্যকালে আমি মাদ্রাসাতে পড়তে যেতাম, তখন আমার এলাকার কিছু মানুষ আমাকে বলতেন-
“বেটা! কেন তোমার ভবিষ্যত খারাপ করছো?
তুমি কি বড়ো হয়ে মুর্দা (মৃতদেহ) নাহলানোর (গোসল করিয়ে পাক করে দেওয়া) কাজ করবে?
মাদ্রাসার ছাত্রদের গোসল করানো ছাড়া আর কি কোনো কাজ জোটে?
তাই বলছি কোনো ভালো স্কুলে ভর্তি হয়ে যাও আর নিজের ভবিষ্যত তৈরী করার চিন্তা ভাবনা করো।”
আমাকে এই প্রকার যারা উপদেশ দিতে তারা বেশীর ভাগই বয়স্ক-বৃদ্ধ হতেন। তাই আমি তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বগলে বই দাবিয়ে “মাদ্রাসা ইমাদুল খতিব” -এর পথে হাঁটা দিতাম।
এরদোগান বলেন – উনার পিতা একজন ফল বিক্রেতা ছিলেন। তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল না। কোনো কোনো দিন ‘তরকারীর’ পরিবর্তে ‘তরমুজ’ দিয়ে রুটি খেতে হতো।বাবা-মায়ের দ্বীন-ইসলামের প্রতি টান ছিলো। তাই উনারা আমাকে ‘কোরআন’ হাফেজ করার জন্য মাদরাসায় ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন।আর সময় গতির সঙ্গে দৌড়াতে থাকলো আর আমি ইস্তানবুলের মাদ্রাসা থেকে ১৯৭৩ সালে নিজের পড়া শেষ করলাম।’কোরআন’ পড়ার সাথে হেফজও শেষ করলাম।তারপর বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়লাম।আমি তুর্কির প্রসিদ্ধ “মারমারাহ ইউনির্ভাসিটি” তে ভর্তি হলাম। সেখান থেকে আমি ‘অর্থশাস্ত্র এবং প্রশাসনিক বিজ্ঞানে’ মাস্টার ডিগ্রী অর্জন করলাম।কিন্তু প্রাসঙ্গিক শিক্ষা মাদরাসা থেকেই অর্জন করেছি।”
★রাজনৈতিক ক্যারিয়ারঃ
সত্তর দশকে এরদুগান, নাজিমুদ্দিন আরবেকানের নেতৃত্বে “হিজবুল খালাসিল ওয়াতানি” দলে যোগ দেন।কিন্তু ১৯৮০সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর তুরস্কের সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়।১৯৮৩ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে,এরদোগান “হিজবু রাফাহ”এ যোগ দেন।১৯৯৪সালে “হিজবুর রাফাহ”র পক্ষ থেকে ইস্তাম্বুলের মেয়র পার্থী হিসেবে মনোনিত হন।এবং বিজয়ও লাভ করেন।ইস্তাম্বুলের মেয়র হন।১৯৯৮ সালে ধর্মীয় উগ্রতার(!) অভিযোগে তাঁকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়।এমনকি,এক রাজনৈতিক সমাবেশে কিছু ইসলামি কবিতা পাঠ করার কারণে তাঁকে কারাগারে যেতে হয়।
তুর্কি ভাষায় কবিতাগুলোর এরকম(তরজমা),
‘মসজিদ আমাদের ক্যান্টনমেন্ট,
গম্বুজ আমাদের হেলমেট,
মিনার আমাদের বেয়নেট,
মুসল্লিরা আমাদের সৈনিক
এবং এই পবিত্র দল পাহারা দিবে আমাদের দীনকে”
( এই কবিতার মধ্যে ধর্মীয়
উসকানির গন্ধ পায় সেক্যুলার
শাসকরা।)
★তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হওয়াঃ
১৯৯৪সালে বিপুল ভোটে ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন এরদোগান। সালে ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি দেড় কোটি লোকের এ শহরটির ট্রাফিক জাম এবং বায়ু দূষণ রোধে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।এ ছাড়া ইস্তাম্বুলের অনেক উন্নতি সাধন করেন।
২০০২সালে আব্দুল্লাহ গুলের নেতৃত্বে এরদুগানের (এ কে পি পার্টি) বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন।
(জনপ্রিয়তায়)
পরপর (২০০৭, ২০১১,২০১৪)
সাংসদীয় নির্বাচনে বিজয়ী হন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এরদোগান তুরস্কের সামাজিক, অর্থনৈতিক সহ সব খাতে ঐতিহাসিক উন্নয়ন করেন।সেই সাথে বহির্বিশ্বের সাথে সম্পর্কও জোরদারভাবে করেন। বিশেষ করে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে (ভিসা,সীমান্ত ইত্যাদি বিষয়ে) শিথিল করেন।
গাজায় ত্রান পাঠানোঃ
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি গাজায় নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য অনেক সাহায্য করেন।ইসরাইল-আমেরিকার শত বাধা এবং চোখ রাঙ্গানী সত্বেও তিনি গাজার মজলুম মুসলমানদের পাশে ছিলেন।ইসরাইলের সাথে সব সম্পর্কও ছিন্ন করেন।(কয়েক বছর আগে গাজা অভিমুখী তুরস্কের ত্রানবাহী জাহাজে ইসরাইলী সন্ত্রাসীরা আক্রমন করে)পরে অবশ্য কিছু শর্তে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেন।মিসরের স্বৈরচারী অবৈধ সেনা শাসনেরও কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
★বাদশাহ ফায়সাল পুরষ্কার লাভঃ
(মালিক ফায়সাল পুরস্কার। নোবেলের মত আন্তর্জাতিক একটি পুরষ্কার। যা সৌদি থেকে বিশ্বের ভিবিন্ন মুসলিম মনীষী কে দেয়া হয়,ইসলাম এবং মানবতার প্রতি অবদান রাখার জন্য)
তুরস্কে ইসলাম এবং মুসলমানের জন্য অবদান রাখার কারণে,২০১০ ইং,১৪৩০ হিজীরী তে “বাদশাহ ফায়সাল পুরস্কার কমিটি “র পক্ষ থেকে এরদুগান কে সেই পুরষ্কার দেয়া হয়।সেই সাথে ১৪৩১/৩/২৩ তারিখে “উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটি “র পক্ষ থেকে তাকে ‘ডক্টরেট ‘ ডিগ্রী প্রদান করা হয়।
★প্রেসিডেন্ট হওয়াঃ
২০১৪সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে এরদোগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।বর্তমানে তিনি আধুনিক তুরষ্কের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা।(যদিও কামাল আততুরকের সেক্যুলার বাহিনী /পাবলিক অনেক অপচেষ্টায় আছে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য।)
ইসলাম এবং মুসলমানকে নিয়ে তাঁর সাহসী বক্তব্যে তিনি অনেক আলোচিত।
★সেনাঅঅভ্যুত্থান নিয়ন্ত্রনঃ
যখন প্রথম তুরস্কে অভ্যুত্থানের খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখন কয়েক ঘণ্টা ধরে দেশটির নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহী সেনাদের হাতে বলেই মনে হচ্ছিল।রাজধানী আঙ্কারা আর সবচেয়ে বড় নগরী ইস্তাম্বুলের প্রধান স্থাপনাগুলোতে ছিল তাদের দৃশ্যমান উপস্থিতি। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দখল করে নেয় সেনাবাহিনী এবং তাদের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়।এত ঘটনার মধ্যে কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের।অভ্যুত্থানকারীদের সেই মুহূর্তে দরকার ছিল সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অংশের এবং জনগণের সমর্থন।কিন্তু অভ্যুত্থানের চেষ্টা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলডিরিম তা প্রতিরোধের চেষ্টা শুরু করেছেন।তবে তুরস্কের বেশিরভাগ মানুষ জানে, প্রকৃত ক্ষমতা আসলে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের হাতে, এবং কিছু করতে হলে তাকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।অভ্যুত্থান সফল হতে হলে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে পুরো রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দিতে হবে।
কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি।যেভাবে পরিস্থিতি পাল্টে গেল শুরুতে বোঝা যাচ্ছিল না প্রেসিডেন্ট এরদোগান কোথায় আছেন। কোনো কোনো খবরে বলা হচ্ছিল তিনি তুরস্কের একেবারে দক্ষিণ-পশ্চিমে এজিয়ান সাগর তীরের অবকাশ কেন্দ্র মারমারিসে আছেন।কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে দেখা গেল সিএনএন এর তুর্কী ভাষার নিউজ চ্যানেলে। মোবাইল ফোনে ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি জনগণকে রাস্তায় নেমে অভ্যুত্থান প্রতিহত করার ডাক দিলেন।প্রেসিডেন্ট এরদোগান যখন ইস্তাম্বুলের কামাল আতাতুর্ক বিমানবন্দরে এসে নামেন, হাওয়া পুরো ঘুরে গেলো।ভিডিও কল: সবাইকে রাস্তায় নামার ডাক দেন এরদোগান
সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কড়া ভাষায় অভ্যুত্থানকারীদের দেখে নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন, বললেন, তুরস্কের নিয়ন্ত্রণ তার হাতেই।
অনেকের কাছেই পরিস্কার হয়ে গেল যে, অভ্যুত্থানকারীরা ব্যর্থ হয়েছে, সিনিয়র সেনা অধিনায়করা সরকারের পক্ষেই আছে।আঙ্কারার নিয়ন্ত্রণ তখনো অভ্যুত্থানকারীদের হাতে। কিন্তু ইস্তাম্বুল তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে।প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার মানুষ তখন ইস্তাম্বুল আর আঙ্কারার রাস্তায় নেমে এসেছে। বিমানবন্দরে যে সেনারা অবস্থান নিয়েছিল, তাদের ঘেরাও করে জনতা, পুরো বিমানবন্দর দখল করে নেয় তারা।রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন টিআরটি থেকে অভ্যুত্থানকারীরা বেশ কিছু ঘোষণা প্রচার করেছিল। তারা কারফিউ জারি করেছিল। কিন্তু সেটি কার্যকর করতে তারা ব্যর্থ হয়।অভ্যুত্থানকারীদের নিয়ন্ত্রণ ক্রমশ শিথিল হতে থাকে।কোনো কোনো খবরে বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান যে হোটেলে ছিলেন সেখানে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান। ফলে সৌভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান।
বিমানবন্দরে এরদোগান অভ্যুত্থানের পক্ষে সমর্থন অভ্যুত্থান সফল হওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সমর্থনের দরকার ছিল। কয়েকটি বড় শহরে হয়তো অনেক সেনা সদস্য এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে ছিল।অভ্যুত্থানকারীরা রাস্তায় অনেক ট্যাংক নামাতে পেরেছিল। তারা ইস্তাম্বুলের বসফোরাস প্রণালীর ওপরের ব্রীজ বন্ধ করে দিতে পেরেছিল।কিন্তু সেনাপ্রধান জেনারেল গুল হুলুসি আকার এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে ছিলেন না। সবচেয়ে বড় নগরী ইস্তাম্বুলে ছিল যে সেনা ডিভিশন, তার অধিনায়কও এই অভ্যুত্থান সমর্থন করেননি। নৌবাহিনী প্রধান এবং বিশেষ বাহিনীর প্রধানও অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করেন।
এফ-সিক্সটিন জঙ্গি বিমান থেকে অভ্যুত্থানকারীদের অবস্থানে বিমান হামলাও চালানো হয়।যুক্তরাজ্যের একটি থিংক ট্যাংক চ্যাথাম হাউজের ফাদি হাকুরা বলেন, এই অভ্যুত্থান আসলে শুরু হওয়ার আগেই ব্যর্থ হয়। এদের পেছনে না ছিল রাজনৈতিক সমর্থন, না ছিল জনগণের সমর্থন।তুরস্কের প্রধান দলগুলো শুরুতেই জানিয়ে দেয়া তারা এর সঙ্গে নেই। ধর্মনিরপেক্ষ সিএইচপি, জাতীয়তাবাদী দল এমএইচপি সবাই সরকারকে সমর্থন জানায়।বলা হয়, সেনাবাহিনীর একটি অংশ এই অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করে। ইস্তাম্বুলেই মূলত তাদের ঘাঁটি।ফাদি হাকুরা মনে করেন, এরা সেনাবাহিনীর বিরাট অংশের প্রতিনিধিত্ব করে না। তাদের ব্যর্থতা এটাও প্রমাণ করে যে তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের পক্ষে আর সমাজের বেশিরভাগ অংশের কোনো সমর্থন নেই।এরদোগান এর আগে বহুবার সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তার সরকার সেনাবাহিনীর মধ্যে অনেক শুদ্ধি অভিযানও চালিয়েছে।
★ইহুদী বিদ্বেষঃ
এরদোগান প্রবল ইহুদী বিদ্বেষী। ১৯৭৪ সালে তার লেখা এক নাটকে তিন ইহুদীদের শয়তান বলে আখ্যা দেন।
★বৈবাহিক জীবণঃ
এরদোগানে ১৯৭৮ সালে বিয়ে করেন। প্রায় ৪০ বছরের বৈবাহিক জীবনে দুই মেয়ে এবং দুই ছেলের বাবা হয়েছেন। তার স্ত্রীর নাম এমিনি এরদোগান। তিনি এবং তার স্ত্রী একসঙ্গে আছেন।
★এরদোগান সম্পর্কে বিরূপ ধারণাঃ
এরদোগানের বিরুদ্ধে নারী বিদ্বেষ নিয়ে বিতর্ক ছড়ানো হয়েছে। এরদোগান বলেছিলেন, নারীরা কখনই পুরুষের সমকক্ষ হতে পারবে না। কারণ তাদের প্রকৃতি ভিন্ন।অনেকে বলেন প্রথম দিকে এরদোগান উগ্র জংগী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসকে সাপোর্ট দিয়েছেন। কিন্তু এরদোগান বরাবর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।যদিও এখন আইএস বিরোধী জোটে এখন এরদোগান অন্যতম নেতা।
★প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্ডমে বিজয়ীঃ
এরদোগানের সাম্প্রতিকতম সাফল্য হলো প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্ডমে গণভোটে তিনি জয়ী হয়েছেন।এর মাধ্যমে তিনি দেশের সর্বময় ক্ষমতা লাভ করেছেন।তিনি সহজেই দেশের যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।এই গণভোটে বিজয়ী হয়ে এরদোগান দেখিয়ে দিলেন, মোল্লার দৌড় কত দূর
এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..